বিশ্বস্ত সূত্রের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ এক বড়সড় সাফল্য অর্জন করেছে। গতরাতে নারকেলডাঙ্গা থানার অন্তর্গত আইডিয়াল হাইটস কমপ্লেক্সে অভিযান চালিয়ে একটি অবৈধ কল সেন্টার ধ্বংস করা হয়। ওই কল সেন্টার বিদেশি নাগরিকদের লক্ষ্য করে প্রতারণা চালাত বলে অভিযোগ।
কীভাবে চলত প্রতারণা?
পুলিশ সূত্রে খবর, এই কল সেন্টারটি রাতের অন্ধকারে সক্রিয় থাকত। বিদেশি নম্বর ব্যবহার করে ধৃতরা নিজেদের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে ফোন করত। এর মাধ্যমে তারা কখনও প্রযুক্তিগত সমস্যা সমাধানের নাম করে, কখনও আবার লোভনীয় অফারের প্রলোভন দেখিয়ে টার্গেটদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিত।
অভিযানে উদ্ধার সামগ্রী
তল্লাশির সময় সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে আসে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ ও বিলাসবহুল জিনিসপত্র।
১০টি মোবাইল ফোন
৮টি ল্যাপটপ
বিপুল পরিমাণ সোনার গয়না
প্রায় ₹১০ লক্ষ নগদ টাকা
দুটি বিলাসবহুল গাড়ি
একাধিক দামি ঘড়ি
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি ও ইলেকট্রনিক প্রমাণ
এই সমস্ত সামগ্রী জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা কারা?
পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের পরিচয় ও তাদের পূর্ব অপরাধমূলক যোগসূত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই চক্রের যোগসূত্র কলকাতার বাইরে এমনকি দেশের বাইরেও ছড়িয়ে থাকতে পারে।
তদন্তে পুলিশের নজর
কলকাতা পুলিশের এক সিনিয়র অফিসার জানিয়েছেন, “এই কল সেন্টারটি দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার কাজ চালাচ্ছিল। আমরা কিছুদিন ধরে গোয়েন্দা নজরদারি চালাচ্ছিলাম। অবশেষে গতরাতে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। চক্রটির বিস্তৃত যোগসূত্র বের করতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।”
সাইবার অপরাধ বৃদ্ধির আশঙ্কা
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কলকাতাসহ সমগ্র রাজ্যে সাইবার প্রতারণার ঘটনা বেড়েই চলেছে। প্রতারণার ধরনও পাল্টাচ্ছে প্রতিনিয়ত। কখনও ফেক কল সেন্টার, কখনও আবার কাস্টমার কেয়ারের ছদ্মবেশে প্রতারকরা সাধারণ মানুষকে টার্গেট করছে। পুলিশের দাবি, সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে এবং সন্দেহজনক ফোন বা মেসেজ পেলে সঙ্গে সঙ্গে থানায় জানাতে হবে।
📌 #StopDropInform
সচেতন থাকুন, প্রতারণা থেকে বাঁচুন।