নেপালজুড়ে ছড়িয়ে পড়া তীব্র বিক্ষোভে ভয়াবহ চিত্র সামনে এল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ ঘিরে শুরু হওয়া আন্দোলন রূপ নিয়েছে সহিংসতায়। ইতিমধ্যেই নিহত হয়েছেন অন্তত ১৯ জন, আহত শতাধিক। রাজধানী কাঠমাণ্ডুসহ বিভিন্ন এলাকায় সরকারি ভবন, রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঝলানাথ খানালের বাড়িতে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাঠমাণ্ডুর দাল্লু এলাকায় অবস্থিত তার বাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভকারীরা। কিছুক্ষণ পরেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ওই বাড়িতে। এসময় ভেতরে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী চিত্রকার। আগুনের লেলিহান শিখায় গুরুতর দগ্ধ হয়ে তিনি প্রাণ হারান। দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকরা তাকে বাঁচাতে পারেননি।
এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা ও তার স্ত্রী অরজু রানা দেউবা বিক্ষোভকারীদের হামলার শিকার হন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কে.পি. শর্মা ওলির সরকারি বাসভবনেও আগুন লাগানো হয়।
অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে প্রধানমন্ত্রী ওলি পদত্যাগ করেন। সেনাবাহিনী রাজধানীতে টহল শুরু করেছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে। দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, তরুণ প্রজন্মের এই বিক্ষোভ নেপালের রাজনীতিতে নতুন মোড় আনতে পারে। তবে সহিংসতা ও প্রাণহানির কারণে পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। আন্তর্জাতিক মহল নেপাল সরকারকে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।