কেরালার পেরুমবাভূরে ভোররাতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ধরা পড়ল বিশাল মাদকচক্র। একটি গাড়িতে করে গোপনে পাচার করা হচ্ছিল প্রায় ৯০ কেজি গাঁজা। ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন ভিনরাজ্যের শ্রমিক।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থানার বাসিন্দা আশিক ইকবাল (২৭), নদিয়ার বাসিন্দা আলমগীর সরদার (২৫) এবং সাহেব নগরের সোহেল রান (২০)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলার পুলিশ সুপার এম. হেমলতার কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে যে, ওড়িশা থেকে গাঁজা নিয়ে একটি গাড়ি পেরুমবাভূরের দিকে আসছে। সেই অনুযায়ী এএসপি’র বিশেষ তদন্ত দল ও থাডিয়িট্টাপারাম্ব পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে রবিবার ভোরে আম্বুনাদ-বাভাপাডি এলাকায় অভিযুক্তদের আটক করে।
ওড়িশা থেকে প্রতি কেজি গাঁজা মাত্র ২ হাজার টাকায় কিনে এনে কেরালায় ২৫-৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করত তারা। তদন্তে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এই চক্র সক্রিয় ছিল এবং পুলিশের নজর এড়াতে সীমান্ত পেরোনোর পর মূলত ছোট ছোট উঁচু-নীচু গ্রামীণ রাস্তা ব্যবহার করত। বিক্রি শেষ হলে অভিযুক্তরা পশ্চিমবঙ্গে ফিরে যেত।
ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়িটি পশ্চিমবঙ্গ নাম্বার প্লেটের। আটককৃত মাদকের বাজারমূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। এ ঘটনায় জেলায় সাম্প্রতিক কালের সবচেয়ে বড় গাঁজা উদ্ধার বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কার কাছ থেকে এই গাঁজা কিনত এবং কারা এর ক্রেতা— তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা পুলিশ সুপার এম. হেমলতা। তদন্তকারী দলে ছিলেন ডিওয়াইএসপি টি.এম. ভার্গিস, ইন্সপেক্টর পি.জে. কুরিয়াকোজ, এএসআই পি.এ. আব্দুল মনাফ, সিনিয়র সিপিও সি.এস. মনোজ, ভার্গিস টি. ভেন্নাট, টি.এ. আফসাল, বেনি আইজ্যাক, কে. বিনোদ, কে.এস. অনুপ, সি.বি. বনাসির, পি.এ. ফজল ও পি.আর. নিখিল।
👉 জেলার সাম্প্রতিক কালের সবচেয়ে বড় মাদকবিরোধী সাফল্য হিসেবেই দেখছে পুলিশ।