চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও এখনও তাঁরা চাকরি পাননি। নিয়োগ প্রক্রিয়া বারবার বিলম্বিত হচ্ছে। আন্দোলনকারীরা বলেন,
“আমরা টেট উত্তীর্ণ, অথচ চাকরি নেই। সরকার শুধু আশ্বাস দেয়, কিন্তু বাস্তবে কোনও পদক্ষেপ নেয় না। এবার আর ধোঁকা নয়, অবিলম্বে নিয়োগ চাই।”
ধর্মতলা থেকে বিধানসভা গেট পর্যন্ত মিছিল
প্রথমে ধর্মতলায় জমায়েত করেছিলেন প্রার্থীরা। এরপর আচমকা মিছিল করে এগিয়ে যান বিধানসভা চত্বরে। আচমকা এই কৌশল বদলে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ। মুহূর্তের মধ্যেই বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
কিন্তু আন্দোলনকারীরা রাস্তায় বসে পড়েন, কেউ কেউ শুয়ে গিয়ে প্রতিবাদ জানান। তাঁদের সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। একসময় বিধানসভা গেটের সামনেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পরিস্থিতি।
সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ
এই বিক্ষোভের জেরে ধর্মতলা-চৌরঙ্গী ও আশেপাশের রাস্তাগুলিতে ভয়াবহ যানজট তৈরি হয়। অফিস সময়ে নাকাল হতে হয় নিত্যযাত্রী ও সাধারণ মানুষকে।
ক্রমাগত আন্দোলনের ইতিহাস
গত কয়েক মাস ধরেই নিয়োগপ্রত্যাশীরা বারবার রাস্তায় নেমেছেন। কখনও স্কুল শিক্ষা দফতরের সামনে, কখনও কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের কাছেও বিক্ষোভ হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁদের দাবির কোনও সুরাহা হয়নি।
আন্দোলনকারীদের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি—
“আজ, এখনই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে, নইলে রাজপথ ছাড়ব না।”
👉 রাজপথের এই উত্তাল পরিস্থিতি ঘিরে নতুন করে চাপে রাজ্য সরকার।