কেন মালদহ?
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে কেবল মালদহ দক্ষিণ আসনেই জয়লাভ করে কংগ্রেস। দলের প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী ওই আসনটি ধরে রাখতে সক্ষম হন। তাই রাহুলের মালদহ সফরকে অনেকেই কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সফরের মাধ্যমে কংগ্রেস উত্তর ও উত্তর-মধ্য বাংলায় নিজেদের ঘাঁটি আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করবে।
কী কী হতে পারে রাহুলের কর্মসূচি?
কংগ্রেসের পরিকল্পনা অনুযায়ী, মালদহ জেলায় একটি বড় সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। সেখানেই উপস্থিত থাকবেন রাহুল গান্ধী। জেলা নেতৃত্ব ও কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি তিনি বৃহত্তর রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এআইসিসি এখনও সম্পূর্ণ সফরসূচি ঘোষণা করেনি, শেষ মুহূর্তে কিছু পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
রাজনৈতিক তাৎপর্য
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সফর শুধু সাংগঠনিক কার্যকলাপের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে কংগ্রেসের অবস্থান স্পষ্ট করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তৃণমূল ও বিজেপির দ্বিমুখী লড়াইয়ের মাঝে কংগ্রেস কীভাবে নিজেদের জায়গা তৈরি করতে চায়, তার ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে মালদহ সফর থেকেই।
গণস্বাক্ষর অভিযানে যোগ দিতে পারেন রাহুল
এদিকে, শনিবার থেকে বিধান ভবন থেকে শুরু হয়েছে কংগ্রেসের ‘ভোট চোর-গোদি ছোড়’ স্লোগানের সমর্থনে গণস্বাক্ষর অভিযান। এই কর্মসূচি চলবে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। কংগ্রেস শিবির মনে করছে, শেষ দিনে রাহুল গান্ধী নিজে এই অভিযানে অংশ নিতে পারেন।
সব মিলিয়ে, দুর্গাপুজোর পর রাহুলের সফর ঘিরে কংগ্রেস শিবিরে এখন উৎসাহ ও প্রস্তুতির আমেজ। মালদহের সম্মেলন যে আগামী দিনে বাংলার রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করবে, তা নিয়ে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।