কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জেলমুক্তি হবে কি না, তা নিয়ে চরম উৎকণ্ঠা। সম্প্রতি নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ মামলায় আলিপুর বিশেষ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন তিনি। এছাড়াও গ্রুপ-সি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে মিলেছে জামিন। ফলে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর মুক্তি এখন নির্ভর করছে মূলত প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলার উপর।
হাইকোর্টে শুনানি শেষ, রায় স্থগিত
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের বেঞ্চে প্রাথমিকে নিয়োগ মামলার জামিনের শুনানি হয়। দীর্ঘ শুনানির পরও বিচারপতি রায়দান স্থগিত রাখেন। অর্থাৎ, এখনই জেল থেকে বেরোচ্ছেন না পার্থ। আদালতের রায়ই নির্ধারণ করবে তিনি মুক্তি পাবেন কি না।
সিবিআই বনাম পার্থর দাবি
এই মামলায় সিবিআইয়ের অভিযোগ, নিয়োগ দুর্নীতির ‘মূল মাথা’ ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি যথেষ্ট প্রভাবশালী, ফলে জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত করার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, পার্থর আইনজীবীদের দাবি, একই মামলায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যসহ অনেক অভিযুক্ত ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন। তাহলে কেবলমাত্র পার্থকে কেন বন্দি রাখা হচ্ছে?
মামলা ও চার্জশিট
২০২২ সালের জুলাই মাসে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই সময় তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা নগদ ও সোনা উদ্ধার করে ইডি। তারপর থেকেই প্রেসিডেন্সি জেলেই কাটছে পার্থর দিন।
প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় সিবিআই গত বছর চার্জশিট জমা দেয়। এই মামলার মোড় ঘোরে যখন পার্থর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য রাজসাক্ষী হন। তার নাম অভিযুক্তদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
এখন কী হতে পারে?
বর্তমানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সব ক’টি মামলাতেই জামিন পেয়েছেন, একমাত্র প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলাটিই তাঁর মুক্তির পথে শেষ বাধা। এই মামলায় জামিন পেলেই প্রায় তিন বছরেরও বেশি সময় পর প্রেসিডেন্সি জেল থেকে মুক্ত হতে পারেন তিনি। আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে রাজ্য রাজনীতি।
👉 এখন প্রশ্ন একটাই—রইল বাকি ১! অবশেষে কি জেলমুক্ত হবেন পার্থ? আদালতের রায়ই বলবে তার উত্তর।