Type Here to Get Search Results !

Subscribe Us

পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জামিন দিলেও আদালত বেশ কিছু কঠোর শর্ত বেঁধে দিয়েছে।

নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় অবশেষে বড় রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন পেলেন। শুক্রবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের বেঞ্চ থেকে তিনি শর্তসাপেক্ষ জামিন পান। তবে জামিন পেলেও এখনও জেল থেকে মুক্তি মিলছে না প্রাক্তন মন্ত্রীর।

হাইকোর্টের শর্তাবলি

পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জামিন দিলেও আদালত বেশ কিছু কঠোর শর্ত বেঁধে দিয়েছে—

পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে।

নিম্ন আদালতের অনুমতি ছাড়া আদালতের এলাকার বাইরে যাওয়া যাবে না।

কোনও সাক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ করা বা কথা বলা যাবে না।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে (ইডি ও সিবিআই) তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে।

মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করা যাবে না।

বিধায়ক বা অন্য কোনও পাবলিক অফিসে কাজ করার দায়িত্ব নিতে পারবেন না।


কেন এখনও মুক্তি নয়?

২০২২ সালের ২২ জুলাই গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন জেলের ভেতর। ইডি ও সিবিআইয়ের সব মামলায় জামিন পেলেও এখনই তিনি বাইরে আসতে পারবেন না। এর কারণ সুপ্রিম কোর্টের আগের নির্দেশ।

গত ১৮ আগস্ট শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, জামিনের বন্ড গ্রহণের আগে নিম্ন আদালতকে চার্জ গঠন করতে হবে।

চার সপ্তাহের মধ্যে চার্জ গঠন প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তার পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের জবানবন্দি নথিভুক্ত করতে হবে।
এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরেই নিম্ন আদালত থেকে পার্থর মুক্তির পথ খুলবে।


সারসংক্ষেপ

অর্থাৎ, হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও সুপ্রিম কোর্টের শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ফলে এখনই রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ নেই তাঁর সামনে।

👉 নিয়োগ দুর্নীতির ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলে অভিযুক্ত পার্থর আইনি লড়াই এখনও অনেক বাকি। তবে এই জামিন তাঁর জন্য নিঃসন্দেহে বড় স্বস্তির খবর।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad