পূর্ণিয়া ও আশেপাশের এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হলো। পূর্ণিয়া বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল ভবনের উদ্বোধন হওয়ায় খুশির আমেজ ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী মহলে। এই নতুন টার্মিনাল ভবন উদ্বোধনের ফলে পূর্ণিয়া জেলার পাশাপাশি সমগ্র উত্তরবঙ্গ ও সীমান্তবর্তী এলাকার বাণিজ্য, পর্যটন ও সংযোগব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিশিষ্টরা।
নতুন টার্মিনাল ভবনে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে। যাত্রীদের আরামদায়ক যাত্রার জন্য উন্নত ওয়ার্কস্টেশন, পর্যাপ্ত বসার জায়গা, ক্যাফেটেরিয়া, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আধুনিক প্রযুক্তি সংযুক্ত করা হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, এই টার্মিনাল চালু হলে প্রতিদিন যাত্রীসংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, নতুন এয়ারপোর্ট টার্মিনালের ফলে পূর্ণিয়াকে ঘিরে বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত খুলবে। কৃষিজাত পণ্য, হ্যান্ডলুম ও হস্তশিল্পের বাজার এখন আরও বড় আকারে প্রসারিত হতে পারবে। পাশাপাশি, পূর্ণিয়াকে কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আগমনও বাড়বে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এতদিন উন্নত বিমানসুবিধা না থাকায় অনেক অসুবিধার মুখোমুখি হতে হতো। নতুন টার্মিনাল ভবন তাদের যাতায়াতের সুবিধা যেমন বাড়াবে, তেমনি কর্মসংস্থানও তৈরি করবে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, খুব শীঘ্রই পূর্ণিয়ার এয়ার রুটে নতুন ফ্লাইট চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। ফলে দিল্লি, কলকাতা, গুয়াহাটি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ সহজ হবে।
পূর্ণিয়া বিমানবন্দরের এই নতুন যাত্রা নিঃসন্দেহে পুরো অঞ্চলের উন্নয়নকে আরও গতিশীল করে তুলবে।