অভিযোগ অনুযায়ী, প্রিন্সিপাল রীনার নির্দেশে স্কুলের ড্রাইভার অজয় শিশুটিকে দড়ি দিয়ে বেঁধে জানালার বাইরে উল্টো ঝুলিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, তাকে একাধিকবার থাপ্পড় মেরে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। ভয়ঙ্কর এই দৃশ্য ভিডিও কলের মাধ্যমে অন্য সহকর্মীদের দেখানো হয় এবং পরে সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। পুলিশ দ্রুত হস্তক্ষেপ করে অভিযুক্ত প্রিন্সিপাল রীনা ও ড্রাইভার অজয়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। শিশু অধিকার আইনের (Juvenile Justice Act, 2015) বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শিশু নির্যাতনের এই ভয়াবহ ঘটনা শুধু এক শিক্ষার্থীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের চিত্রই তুলে ধরেনি, বরং দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে শিশু সুরক্ষার প্রশ্নও নতুন করে সামনে এনেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেন যথাযথ নজরদারি ও প্রশাসনিক তদারকি নেই—এই প্রশ্ন উঠছে অভিভাবক মহল থেকে।
শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, স্কুলে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কড়া আইন প্রয়োগের পাশাপাশি স্কুল প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা অত্যন্ত জরুরি। তারা মনে করছেন, এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিশু সুরক্ষা কমিটি সক্রিয়ভাবে কাজ করা উচিত।
এই মর্মান্তিক ঘটনা প্রমাণ করছে, শিক্ষাঙ্গনে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। কেবল কঠোর আইনি ব্যবস্থা নয়, বরং প্রতিটি স্তরে সচেতনতা, প্রশাসনিক নজরদারি ও দায়িত্ববোধই শিশুদের জন্য নিরাপদ শিক্ষাক্ষেত্র গড়ে তুলতে পারে।