পুত্রসন্তান জন্ম দিতে না পারায় এক গৃহবধূর উপর অকথ্য নির্যাতনের অভিযোগে তোলপাড় কানপুর। স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির মোট সাতজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা মহিলা।
অভিযোগে বলা হয়েছে, মেহক খান নামের ওই গৃহবধূকে বিয়ের পর থেকে নিয়মিতভাবে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হতো। সন্তান জন্মের পর যখন জানা যায় তিনি কন্যাসন্তানের মা হতে চলেছেন, তখন থেকেই স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা মেহকের উপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন।
🩸 জোরপূর্বক গর্ভপাত ও নৃশংস নির্যাতন
মেহকের অভিযোগ, তাঁকে অন্তত দু’বার জোর করে গর্ভপাত করানো হয়, কারণ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা “ছেলে সন্তান” চেয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, পুত্রসন্তান পাওয়ার অজুহাতে তাঁর শ্বশুর ও দেওরের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য চাপ দেয়া হয়।
এই অমানবিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
🏥 শারীরিকভাবে গুরুতর আঘাত
অত্যাচারের জেরে মেহক মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত লাগে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন এবং পুলিশের নিরাপত্তায় রয়েছেন।
👮♀️ পুলিশের পদক্ষেপ
ঘটনার পর মেহক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, দেওর, ননদসহ মোট সাতজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
💬 সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনার পর সমাজের বিভিন্ন স্তরে নিন্দার ঝড় উঠেছে। নারী অধিকারের সংগঠনগুলি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
📍উল্লেখযোগ্য:
ভারতের বহু অঞ্চলে এখনও পুত্রসন্তানের প্রতি পক্ষপাতিত্ব ও কন্যাসন্তানের প্রতি অবমূল্যায়ন সমাজের গভীরে প্রোথিত। এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও প্রকাশ পেল সেই অমানবিক মানসিকতা।