🔍 দুর্নীতির নেপথ্যে কারা?
সিবিআই জানিয়েছে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তাঁর ব্যক্তিগত সচিব প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়, এসএসসির উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং সচিব অশোক সাহা মিলে একাধিক পরিকল্পনার মাধ্যমে অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দিতেন। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে অশোক সাহাকে সচিব পদে বসানো হয়েছিল শুধুমাত্র দুর্নীতির পথ আরও মসৃণ করতে।
⚙️ কীভাবে চলত এই দুর্নীতির প্রক্রিয়া?
রিপোর্টে উঠে এসেছে, মোট ১৭ রকম পদ্ধতিতে এই নিয়োগ দুর্নীতি চালানো হতো।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো —
শূন্যপদ তৈরি: পার্থ চট্টোপাধ্যায় আধিকারিকদের উপর চাপ সৃষ্টি করে কৃত্রিম শূন্যপদ তৈরি করতেন।
অযোগ্যদের তালিকা: প্রভাবশালী সুপারিশের তালিকা বানিয়ে চাকরি নিশ্চিত করা হতো।
চাপ ও বদলি: যেসব আধিকারিক দুর্নীতির বিরোধিতা করতেন, তাঁদের দূরবর্তী জেলায় বদলি করা হতো।
পরীক্ষা ছাড়াই চাকরি: বহু প্রার্থী কোনো পরীক্ষায় অংশ না নিয়েই চাকরি পান, ফলে তাঁদের কোনো OMR শিট ছিল না।
প্রমাণ লোপাট: ২০১৯ সালে একটি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে পুরনো OMR শিট ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
আত্মীয়দের কাজে লাগানো: অশোক সাহা নিজের মেয়েকে RTI দপ্তরে নিয়োগ করেন, যাতে তথ্য ফাঁস রোধ করা যায়।
⚖️ আদালতের পর্যবেক্ষণ
কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও রায়ে উল্লেখ করেছে যে, প্রায় ১৭ রকম দুর্নীতির পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায়।
📚 শিক্ষাব্যবস্থার উপর কালো ছায়া
এই কেলেঙ্কারি শুধু রাজনৈতিক মহলেই নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যেও তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, আর সকলের নজর এখন সিবিআইয়ের পরবর্তী তদন্তের দিকে।