ভোটের ছবিতে এনডিএ-র দুর্দান্ত কামব্যাক
শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী—
এনডিএ পেয়েছে ২০২টি আসন
মহাজোটের ঝুলিতে মাত্র ৩৫টি আসন
অন্যান্যদের দখলে ৬টি আসন
গতবারের তুলনায় আরও নিম্নমুখী হল মহাজোটের সক্ষমতা। বিশেষত, যেসব আসনে রাহুল গান্ধী ‘ভোট অধিকার যাত্রা’ করেছিলেন, সেগুলির প্রতিটিতেই কংগ্রেস পরাজিত হয়েছে।
কেন ভরাডুবি মহাজোটের?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এবারের নির্বাচনে বেশ কিছু ফ্যাক্টর এনডিএ-কে বড় ধাক্কা দেয়—
মহিলা ভোটারের উচ্চমাত্রার সমর্থন
যুবসমাজকে লক্ষ্য করে নীতিশ–মোদী সরকারের প্রলোভনমূলক ঘোষণা
SIR সংক্রান্ত প্রচার
মহাজোটের ‘ভোটচুরি’ অভিযোগের পক্ষে দৃঢ় প্রমাণের অভাব
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার যৌথ প্রচারে উন্নয়ন, কর্মসংস্থান এবং সুরক্ষা—এই তিন স্তম্ভে জোর দেন। তারই ফলে এনডিএ পরিষ্কার সুবিধা পায়।
দলভিত্তিক আসন: বিজেপি সবার ওপরে
ফলাফলের পরিসংখ্যান বলছে—
বিজেপি: ৮৯ (২০২০-র ৭৪ থেকে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি)
জেডিইউ: ৮৫ (গতবার ৪৩—অর্থাৎ প্রায় দ্বিগুণ)
এলজেপি (রামবিলাস): ১৮
আরজেডি: ২৫ (গতবারের ৭৫ থেকে বড় পতন)
কংগ্রেস: ৬ (গতবার ১৯ ছিল)
এনডিএ-র দুই প্রধান শরিক বিজেপি ও জেডিইউ প্রায় সমান শক্তি দেখিয়ে বিহারে নিজেদের রাজনৈতিক জমি আরও পোক্ত করল।
বিহার জয়ের পর মোদীর বার্তা—নজর এবার বাংলায়
দিল্লিতে বিজেপি সদর দফতর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিহারের ফলাফলকে ‘অভূতপূর্ব বিজয়’ বলে উল্লেখ করেন। তাঁর কথায়—
“গঙ্গার জল বিহার থেকেই বাংলায় আসে। বিহারের জয় বাংলায় বিজেপির জয়ের পথ আরও মজবুত করল। বাংলার ভাইবোনদের অভিনন্দন—আরো একবার আমরা মিলেমিশে জঙ্গলরাজের অবসান ঘটাব।”
এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে জল্পনা বাড়ছে—বিহারের সাফল্যকে সামনে রেখে ২০২৬ বঙ্গ নির্বাচনে কতটা আগ্রাসী কৌশল নিতে চলেছে বিজেপি।