Type Here to Get Search Results !

Subscribe Us

দিল্লি বিস্ফোরণ মামলায় আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা গ্রেফতার, অর্থপাচারের সন্ধান পেল ED।

দিল্লির সাম্প্রতিক বিস্ফোরণের তদন্তে নতুন দিক— আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট ট্রাস্টের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও জালিয়াতির অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ নিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। মঙ্গলবার অর্থপাচার প্রতিরোধ আইন (PMLA), ২০০২-এর ধারা ১৯ অনুযায়ী গ্রেফতার করা হয় আল-ফালাহ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা জাওয়াদ আহমেদ সিদ্দিকিকে।

বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি, বিপুল নথি ও নগদ উদ্ধার

ইডি জানায়, দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের দায়ের করা দুটি এফআইআরের ভিত্তিতে তাঁরা তদন্ত শুরু করেন। এর আগে সিদ্দিকির বাসভবন ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকা নগদ, বিপুল ডিজিটাল ডিভাইস ও অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করে তদন্তকারীরা।

ইডি সূত্রে দাবি, উদ্ধার হওয়া নথি বিশ্লেষণেই স্পষ্ট— ট্রাস্টের তহবিল দীর্ঘদিন ধরে অপব্যবহার করা হচ্ছিল। বেশ কিছু ভুয়ো কোম্পানির মাধ্যমেও অর্থ লেয়রিং ও পাচারের প্রমাণ মিলেছে।

মিথ্যা স্বীকৃতির অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্তির অভিযোগ

তদন্তে উঠে এসেছে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ।
🔹 বিশ্ববিদ্যালয়টি নিজেদের NAAC স্বীকৃত ও UGC Act 12(B) অনুমোদিত বলে দাবি করত।
🔹 কিন্তু ইউজিসি স্পষ্ট জানায়— আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় কখনও ১২(বি)-র জন্য আবেদনই করেনি।
🔹 ফলে কেন্দ্রীয় অনুদানের যোগ্যতাও তাদের নেই।

এই ভুয়ো দাবি দেখিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগও ধরা পড়েছে।

ট্রাস্টের তহবিল পরিবার-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায় স্থানান্তরের অভিযোগ

ইডি জানায়—

১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত আল-ফালাহ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সমস্ত অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ ছিল সিদ্দিকির হাতে।

নির্মাণ, ক্যাটারিংসহ একাধিক পরিষেবার চুক্তি তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল।

ট্রাস্টের টাকা ভুয়ো প্রজেক্ট দেখিয়ে পারিবারিক কোম্পানিগুলিতে স্থানান্তর করা হতো।


তদন্তকারীদের দাবি, দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তিনি বিপুল অর্থ ট্রাস্ট থেকে সরিয়ে ব্যক্তিগত ব্যবসায় ব্যবহার করেছেন।

দিল্লি বিস্ফোরণ মামলার সঙ্গেও টাকা যাওয়ার সন্দেহ

১০ নভেম্বর লালকেল্লার বাইরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১৪ জনের মৃত্যু হয়। তার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রের নাম তদন্তে উঠে আসায় প্রতিষ্ঠানটি নজরে আসে।

ইডি তদন্ত করছে—
ট্রাস্ট থেকে পাচার হওয়া অর্থের কোনও অংশ এই বিস্ফোরণে জড়িত ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কাছে পৌঁছেছিল কি না। এই সংযোগ নিয়ে তদন্ত এখনো চলছে।

গ্রেফতারির পর ইডির দাবি

ইডি জানায়—

পর্যাপ্ত নথি, লেনদেনের প্রমাণ ও জালিয়াতির তথ্য হাতে পাওয়ার পরই ১৮ নভেম্বর জাওয়াদ আহমেদ সিদ্দিকিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সমস্ত প্রক্রিয়াই আইন মেনে করা হয়েছে।

তদন্ত চলবে এবং প্রয়োজন হলে আরও গ্রেফতারি হতে পারে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad