তদন্তের সূত্র ধরেই উত্তরবঙ্গে অভিযান
NIA-র সূত্রে জানা গেছে, বিস্ফোরণ মামলার তদন্তে প্রথমে যাহ নিশারের বাবা তৌহিদ আলমের লুধিয়ানা ঠিকানায় যোগাযোগ করা হয়। সেখানে জানতে পারা যায় যে যাহ নিশার কয়েকদিন ধরে উত্তর দিনাজপুরের কোনাল গ্রামে আত্মীয়দের বাড়িতে রয়েছেন। এরপরই বিশেষ তদন্তকারী দল দ্রুত উত্তরবঙ্গে পৌঁছে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সূর্যাপুরের দিকে রওনা দেয়।
ধৃতের মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করেই তাঁকে শনাক্ত করা সম্ভব হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ভোরের দিকে সূর্যাপুর বাজার চত্বরে যাহ নিশারকে আটক করে প্রথমে ইসলামপুর এবং পরে জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে শিলিগুড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরিবারের দাবি — “যাহ নিশার শান্ত স্বভাবের, কোনও অপরাধে যুক্ত হওয়া অসম্ভব”
হঠাৎ এ ধরনের ঘটনায় হতবাক পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা। যাহ নিশারের কাকা আবুল কাশেম বলেন,
“ভাইপোকে আমরা খুবই শান্ত ও ভদ্র ছেলে হিসেবে জানি। পড়াশোনাই তার একমাত্র লক্ষ্য। এরকম কোনও বড় ঘটনার সঙ্গে তার নাম জড়ানো আমাদের পক্ষে বিশ্বাস করা কঠিন।”
গ্রামবাসীরাও একই দাবি করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, শিক্ষিত পরিবারের ছেলে যাহ নিশার কখনও কোনও ঝামেলায় জড়াননি। আত্মীয়ের বিয়েতে যোগ দিতেই তিনি মা ও বোনকে নিয়ে কোনাল গ্রামে এসেছিলেন।
তদন্তে নতুন দিকের ইঙ্গিত
তদন্তকারীরা মনে করছেন, দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে যাহ নিশারের সম্ভাব্য যোগসূত্র বা তার যোগাযোগসূত্র বোঝার চেষ্টায় মোবাইল ডেটা, ডিজিটাল ট্র্যাক ও সাম্প্রতিক গতিবিধি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এনআইএ এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি, তবে সূত্রের খবর — এটি তদন্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলায়। পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সকলেই নজর রাখছেন তদন্তকারীদের দিকে।