মমতা আরও বলেন,
“আমার মনে হয় SIR স্টে হওয়া উচিত। কোটি কোটি মানুষ এখনও ফর্মই পায়নি। ফেব্রুয়ারিতে ভোটের সম্ভাবনা, আর এখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলি, ফর্ম ফিলআপ — বাস্তবে অসম্ভব।”
তিনি সরাসরি নির্বাচন কমিশনের সিইও-র উদ্দেশে বলেন,
“হ্যালো স্যার, ক্যান ইউ হিয়ার মি? এইভাবে গায়ের জোরে কাজ চালানো ঠিক নয়। নোটবন্দির মতো SIR-কেও জোর করে চালাতে চাইছে কেন্দ্র ও বিজেপি। কিন্তু বাংলার মানুষ ক্ষমা করবে না।”
🔹 তৃণমূলের মামলা সুপ্রিম কোর্টে
মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের কিছু ঘণ্টা পরেই তৃণমূলের দুই সাংসদ দোলা সেন ও মালা রায় সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন। তাঁদের আবেদন— এত গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া এত দ্রুত সম্পন্ন করা হলে হাজারো ভুল হতে পারে, প্রকৃত ভোটারদের নাম বাদ পড়তে পারে।
সূত্র অনুযায়ী, মঙ্গলবারই এই মামলার শুনানি হতে পারে। দলের তরফে জানানো হয়েছে, “SIR-এর নামে বাংলার প্রকৃত ভোটারদের একাংশকে বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।”
🔹 ‘সুপার ইমার্জেন্সি’র অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর
মমতার অভিযোগ, রাজ্যে প্রশাসনিক কাজ আটকে দেওয়া হচ্ছে। “অফিসারদের জোর করে ফর্ম ফিলআপে নামানো হয়েছে। শিক্ষকরা স্কুলের কাজ সামলাচ্ছেন, আবার BLO-র দায়িত্বও পালন করতে হচ্ছে। দু’ঘণ্টায় কত বাড়ি যাওয়া সম্ভব?”
তিনি আরও বলেন,
“এই তিন মাসে রাজ্য যাতে কোনও কাজ করতে না পারে, তাই সুপার ইমার্জেন্সির মতো পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু যত আঘাত করবে, তত প্রত্যাঘাত হবেই।”
🔹 বিজেপিকে সরাসরি আক্রমণ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। মানুষের হৃদয় কাঁদছে, আর বিজেপি হাসছে। কিন্তু জেনুইন ভোটারের নাম বাদ গেলে, ছেড়ে কথা বলব না।”
তৃণমূলের হাতে থাকা কিছু প্রাথমিক নথি অনুযায়ী, বাংলার বিভিন্ন এলাকায় ভোটার তালিকা থেকে প্রকৃত বাসিন্দাদের নাম বাদ দেওয়ার পরিকল্পিত প্রচেষ্টা চলছে, এই অভিযোগেই আদালতের দ্বারস্থ শাসকদল।
তৃণমূল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, যদি আদালত দ্রুত হস্তক্ষেপ না করে, তাহলে রাজ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশাল গলদ দেখা দিতে পারে।